মাসুদ আলম: নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানার মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর ও উত্তরাগামী সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাখালী, বনানী, ভাটারা, বাড্ডা ও গুলশান তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। 

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসে দুপুর দেড়টায় শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়লে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বলেন, নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কাওলা এলাকায় তার নামে একটি বাস স্টপেজ করাসহ আমরা ৪ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা আবারও রাস্তায় নামব। তবে আরও একটি কথা আমরা পুলিশকে জানিয়েছি, যদি রাস্তায় ভিক্টর ক্লাসিকের কোনো বাস চলাচল করে তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় নামব।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের ডিসি কমিশনার মো. মোর্শেদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি দাবি ছিল বাস চালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তার করা। তাদের  সোমবার সকালেই ভাটারা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন ভিক্টর ক্লাসিকের রুট পারমিট বাতিল ও এই পরিবহন বাস যেন রাস্তা না চলে। ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের বাস যেন রাস্তায় না চলে সে বিষয়ে আমরা  সোমবার থেকে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া রুট পারমিট বাতিলের বিষয়টি একটু সময় লাগবে। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আরো দাবি জানিয়েছে নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও কাওলা এলাকায় নাদিয়ার নামে একটি বাস স্টপেজ করার। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এছাড়া ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আর স্টপেজ নির্মাণের বিষয়টি সিটি করপোরেশন দেখবে।

রোববার দুপুরে প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে নর্দান ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া।  তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব